অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : তুরস্কের বৃহত্তম নগরী ইস্তাম্বুলের মেয়র একরাম ইমামোগলুকে কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। সরকারি কর্মকর্তাদের মানহানির দায়ে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) তাকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবীদ হলেন একরাম। তুরস্কে সামনের বছরে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে লড়ার কথা রয়েছে তার।
২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন একরাম। কিন্তু সে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে ওই বছরের শেষ দিকে পুনরায় নির্বাচন হলে, জয় পান একরাম।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একে পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন ধর্মনিরপেক্ষ দল সেক্যুলার রিপাবলিকান পার্টির একরাম ইমামোগলু। এর মাধ্যমে ইস্তাম্বুলে একে পার্টির দীর্ঘ ২৫ বছরের শাসনের সমাপ্তি ঘটে।
দ্বিতীয়বারের নির্বাচনে জেতার পর, আগের নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের জন্য তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ‘বোকা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, সরকারি কর্মকর্তাদের অপমানের দায়ে একরামকে ২ বছর ৭ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে, রায় ঘোষণার আগে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে আদালত প্রাঙ্গনে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা গেছে, মেয়র একরাম এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। যদি উচ্চ আদালতে এ কারাদণ্ড বহাল থাকে, তবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। তবে এর আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নিতে তার কোনো বাধা নেই।
কারাদণ্ড দেওয়ার পর নিজ প্রতিক্রিয়ায় একরাম বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, তুরস্কে আইনের শাসন নেই। আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণ এর জবাব দেবে। এরদোয়ান সরকারের স্পষ্ট মদদে আমার বিরুদ্ধে এমন রায় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এরদোয়ানের বিরোধী নেতাকে কারাদণ্ড দেওয়ার কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলে, এ রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল ও আইনের শাসনের পরিপন্থি। এতে তারা হতাশ ও মর্মাহত।
Leave a Reply